Friday, July 4, 2014

স্ত্রীকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন: থানার এএসআই সাসপেন্ড

Posted by with No comments

স্ত্রীকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন: থানার এএসআই সাসপেন্ড

স্ত্রীকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নির্যাতন: থানার এএসআই সাসপেন্ড
চট্টগ্রাম, ০৯ জুন- মিরসরাইয়ের যৌতুকের দাবিতে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
নির্যাতিত গৃহবধু বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ২য় তলায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, মিরসরাইয়ের বাড়িয়াখালী এলাকার মৃত খোরশের আলমের ছেলে বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএস আই) মো মুছা মিয়ার সাথে একই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল্লার মেয়ে ইসরাত সোলতানা প্রমির বিয়ে ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে প্রমিকে মুছা মিয়া নির্যাতন করত বলে অভিযোগ করেন তার বাবা মো আব্দুল্লাহ।
প্রমির বাবা মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের কারণে প্রায় সময় আমার মেয়ে মারধর করত তার স্বামী মুছা মিয়া। তারপরও মেয়ে সুখের কথা চিন্তা করে সব সহ্য করেছি। সর্বশেষ গত বুধবার ( ৪ জুন) আমার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করে হ্যান্ডক্যাপ দিয়ে দুহাত বেঁধে বাইরে চলে যায় মুছা।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় তাকে ঘরে আটকে রেখে চলে যাওযার রাত তিনটার দিকে আমার মেয়ে কোনমতে মোবাইল নিয়ে আমাদের খবর দেই। আমি এলাকার কয়েকজন গন্যমান্য ব্যাক্তিকে নিয়ে আমার মেয়ে হ্যান্ডক্যাপ পরা অবস্থায় উদ্ধার করে বৃস্পতিবার (৫ জুন) সকালে সদরঘাট থানায় নিয়ে আসি। থানায় বিষয়টি অবহিত কওে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। তারা গত ১ জুন চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়ি একটি ভাড়া বাসায় উঠেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, মেয়ের সুখের জন্য আমি অনেক কিছু করেছি। তারপরও সে (মুছা) আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বদলি হতে সে আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবী করে। আমি আমার মেয়েকে না জানেিয় তাকে দুই লাখ টাকা দিই। মেয়েকে নির্যাতনের দায়ে মুছার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী ইসরাত সোলতানা প্রমি বলেন, ওইদিন (গত বুধবার) আমাকে মেওে হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে সে বাইওে চলে যায়। আমার মা-বাবা এসে উদ্ধার না করলে আমি মরে যেতাম।
এ বিষয়ে সদরঘাট থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে ওই মহিলা থানায় হ্যান্ডক্যাপ নিয়ে আসে। তবে তারা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সদরঘাট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুছা মিয়া তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার কওে বলেন, আমার বিরুদ্ধে শশুর পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। কেউ-কারো স্ত্রীকে হ্যান্ডক্যাপ লাগায়? এগুলো বানোয়াট।
আপডেট : ০৯-০৬-২০১৪

0 comments:

Post a Comment